BREAKING NEWS. টলিপাড়ায় নক্ষত্র পতন : চলে গেলেন অভিনেতা তাপস পাল

18th February 2020 বিনোদন
BREAKING NEWS.  টলিপাড়ায় নক্ষত্র পতন : চলে গেলেন অভিনেতা তাপস পাল


মৃত‍্যুকালে বয়স হয়েছিলো ৬১ বছর । দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি । মুম্বাই বিমানবন্দরে বুকে ব‍্যাথা অনুভব করলে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় । আজ ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ মারা যান অভিনতা তৃণমূল কংগ্ৰেসের প্রাক্তন সাংসদ তাপস পাল । ১৯৮০ সালে তাঁর প্রথম ছবি " দাদার কীর্তি " । তখন থেকেই দর্শকদের কাছে অত‍্যন্ত জনপ্রিয় । তারপর বহু বাংলা ছবিতে অভিনয় । যা আগামী অনেকবছর স্মরণীয় থাকবে দর্শকদের মনে । 

অভিনয় জগতের পাশাপাশি রাজনীতিতে যুক্ত হন তাপস পাল । মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এর হাত ধরে বিধায়ক পরে সাংসদ ও হন তিনি । পরবর্তী সময়ে চিটফান্ড কান্ডে জড়িয়ে কারাবাসেও থাকতে হয়েছে । রাজনীতি র ময়দানে বিতর্কিত মন্তব‍্য করে সমালোচিত হয়েছেন । তারপর বেশ কিছুটা গুটিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে । অবশেষে সমাপ্তি । চলে গেলেন চন্দননগরের তাপস পাল ।  ২৮ জানুয়ারি মুম্বই গিয়েছিলেন। সেখান থেকে পয়লা ফেব্রুয়ারি মেয়ে সোহিনী পালের কাছে, মার্কিং যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল । বিমান ধরার আগেই বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। ভর্তি করা হয় হাসপাতালে । রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। মাঝে চিকিত্সায় সামান্য সাড়া দিলেও সোমবার থেকে অবস্থার অবনতি শুরু হয়। ১৯৫৮ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর হুগলির চন্দননগরে জন্ম। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ। কলেজে পড়াকালীন নজরে পড়েন পরিচালক তরুণ মজুমদারের।  মাত্র ২২ বছর বয়সে মুক্তি পায় প্রথম ছবি দাদার কীর্তি। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। উল্লেখযোগ্য ছবি গুলির মধ্যে সাহেব, অনুরাগের ছোঁয়া, পারাবত প্রিয়া, ভালোবাসা ভালোবসা । সাহেব ছবির জন্য ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান ১৯৮১ সালে। বাংলার পাশাপাশি অভিনয় করেছেন হিন্দি ছবিতেও। মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতে অভিনয় করেছেন অবোধ ছবিতে। কৃষ্ণনগর লোকসভা থেকে তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ ছিলেন তিনি।





Others News

ফিরে এসো অপু - আকুল প্রার্থনায় আপামর বাঙালী

ফিরে এসো অপু - আকুল প্রার্থনায় আপামর বাঙালী


                    সৌম‍্য ঋষি 

----------------------------------------

আপনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, গভীর রাতে বা ভোরবেলা ফোন বাজলেই চমকে ওঠেন। আবার কারও মৃত্যু সংবাদ এল কি?  এবার কার পালা! 
রবীন্দ্রনাথ যেমন বলেছেন, "আমি পরাণের সাথে খেলিব আজিকে মরণখেলা নিশীথবেলা।" তেমনই আপনার কন্ঠে -" মৃত্যু আয় তিনপাত্তি খেলি"- অমর হয়ে থাকবে। যদিও আপনি লেখেননি, তবু যেন এটা আপনার। আপনার মনের কথাগুলি যেন অনেকদিন বাদে বললেন। আপনার সাদাকালো সিনেমা দেখে যেই প্রজন্ম বড় হয়েছেন তাদের মনে সবসময় আপনাকে আর উত্তম কুমারকে নিয়ে একটা তুলনা চলত। কিন্তু তারাও আপনার অভিনয়ের, কন্ঠের ভক্ত। অথচ বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের প্রথম পছন্দ ছিলেন আপনি।  আমরা যারা চল্লিশ থেকে পঞ্চাশের দিকে চলেছি এবং প্রতিনিয়ত আপনার নতুন নতুন কাজ দেখছি, তারা আপনার আকুল ভক্ত। ছোট ছোট বাজেটের ছবি, আর তাতে আপনার উপস্থিতি ছবিটিকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যায়।  আমরা অপুকে চিনি, ফেলুদাকে চিনি, জীবনে কি পাব না গানের সাথে নৃত্যরত সেই অভিনেতাকে যেমন চিনি, তেমন চিনি সেই অগ্রদানী ব্রাহ্মণকে - যার অসহায়তা চোখের জল ধরে রাখতে দেয় না - আবার কুন্তল কেও চিনি, পোস্তর দাদুকে চিনি, বেলাশেষের সেই বৃদ্ধকে চিনি, ধর্ষিতা নাতনির হয়ে বদলা নেওয়া ইঞ্জিনিয়ার  দাদুকে চিনি। পর্দায় আপনার সৌম্যদর্শন চেহারা, বিরামহীন এই কর্মজীবন শুধু আমাদের নয়, আমাদের পরের প্রজন্মকেও আপনার ডাই হার্ট ফ্যান করে তুলেছে। আজ মৃত্যু আপনার কাছে একটি আবশ্যিক ঘটনার মতো। রেখাপাত করার মতো নয়।  কারণ আপনি লিজেন্ড।  আমরা আপনাকে চিনি আপনার কাজ দিয়ে। যা আপনাকে চিরজীবী করবে। ব্যাক্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কেমন থাকেন, তাঁর নিজস্ব দুঃখ সুখ,তাঁর জীবনটা কি আমাদের মতোই সাধারণ না রূপকথার মতো - জানি না কিছুই। আপনি এই অসাধ্যসাধনটি করতে পেরেছেন। আমরা ঋদ্ধ হয়েছি আপনার কাজে। প্রণম্য আপনি। সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন। না হয় আপাতত কাজ নাই করলেন। তবু জানব আছেন। আর যদি মৃত্যু আপনাকে ডেকে নেয়, তার কারণ অন্য হোক। করোনায় মরণ আপনার জন্য কাম্য না। কক্ষোনো না কক্ষোনো না ----

ছবি : সংগৃহিত